এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:
“অভয়াশ্রম গড়ে তুলি, দেশি মাছে দেশ ভরি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে দেশের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবহারে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ মধ্য দিয়ে কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার ভূমি রূপায়ন দেব।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালী প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সুগন্ধা মিলনায়তনে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রূপায়ন দেব।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা মেরিন ফিশারিস কর্মকর্তা এ জেড এম মোছাদ্দেকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আরিফ উদ্দিন, উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা এবং উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ইফতেখার আহমেদ। এছাড়াও প্রান্তিক মৎস্যচাষী ও বিভিন্ন অতিথি বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশীয় মাছ সংরক্ষণ ও অভয়াশ্রম গড়ে তোলা সময়ের দাবি। মাছ শুধুমাত্র প্রোটিনের উৎস নয়, এটি দেশের অর্থনীতি ও জীবিকার অন্যতম চালিকা শক্তি। সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছাড়া মৎস্য খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশ বর্তমানে মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও দেশীয় প্রজাতির মাছ টিকিয়ে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। চাষিদের এ বিষয়ে আরও মনযোগী হতে হবে, নইলে অনেক দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, মৎস্য খাত জাতীয় আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মৎস্যচাষে আরও অগ্রগতি সম্ভব। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে দেশি মাছের ভাণ্ডার পুনরায় সমৃদ্ধ হবে।
অনুষ্ঠান শেষে স্বাদু পানির মৎস্য উৎপাদনে সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ মৎস্য চাষি আবদুল হামিদ, কাঁকড়া চাষ ও মোটাতাজাকরণে মো. কাজল হোসাইন এবং চিংড়ি উৎপাদনে সাফল্যের জন্য মাওলানা শহিদুল ইসলামকে শ্রেষ্ঠ সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
